এই ফিল্মগুলোর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সদ্য নির্মিত জুলাই গনঅভ্যুত্থানের কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে "জুলাই অনির্বাণ" চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই মুক্তমঞ্চ ভেন্যুটি বিনামূল্যে অনুমোদন করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। অন্যান্য সহযোগিতায় ছিল ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ’, এছাড়া প্রচার সহযোগিতায় ছিল ‘কুল এক্সপোজার’ । এর বাইরে আমরা এখনো পর্যন্ত কোন স্পন্সর না নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও দর্শকদের থেকে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করছি।

আজকের এই স্ক্রিনিং - এ নির্মাতাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতি আহবান করা হয়, যেনো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কয়েকদিন আগে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন, ১৯৮৯-এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ’-এর নতুন খসড়া অধ্যাদেশে পূর্বের 'নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র' উপবিভাগ থেকে কেটে চলচ্চিত্র অংশটুকু বাদ দেয়া হয়েছে।
নির্মাতারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শিল্পকলা একাডেমির শুরু থেকেই চলচ্চিত্র যুক্ত ছিলো। ফলে এখন চলচ্চিত্র বাদ দিয়ে শিল্পকলা চলতে পারে না। গণসংস্কৃতিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা বিশাল। ফ্যাসিস্ট বয়ানের বিপরীতে গণমানুষের বয়ান এবং স্বাধীন ও নতুন স্বর তৈরিতে শিল্পকলা একাডেমির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এইজন্য খসড়া অধ্যাদেশে চলচ্চিত্রকে পূণরায় যুক্ত করে বিভাগ করার জন্য নির্মাতারা জোর দাবী জানান। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।